ইসলামী ব্যাংক পিএলসি শেয়ারবাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য নতুন শেয়ার ইস্যু করতে যাচ্ছে। এছাড়াও, বর্তমান নগদ সংকট কাটাতে এবং অর্থ সরবরাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জব্দকৃত এস আলম গ্রুপের শেয়ার বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করা হবে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এ ঘোষণা দেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর উপস্থিত ছিলেন।
মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ গুরুতর আহত
গভর্নর জানান, ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা নেওয়ার পর এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির ৮০ শতাংশ ঋণ নিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘সম্পদের দিক থেকে ইসলামী ব্যাংক অন্যান্য ১০টি সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকের চেয়েও বড়। ইসলামী ব্যাংক ঘুরে দাঁড়ালে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি হবে।’
চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘এস আলম গ্রুপের কার্যকলাপের কারণে বিদেশি ব্যাংক এবং আসল বিদেশি পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে ব্যাংকটির সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ‘বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ মধ্যপ্রাচ্যের সাবেক বিদেশি পৃষ্ঠপোষকদের এবং আইএফসি-র সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করেছে যাতে তারা ব্যাংকটির সঙ্গে আরও বেশি জড়িত থাকে।
এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংযুক্ত কোম্পানিগুলি থেকে ইসলামী ব্যাংকের সম্পদ উদ্ধারের জন্যও প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, যার মধ্যে ১০০ শতাংশ এলসি মার্জিনের শর্তে ঋণপত্র খোলা অন্তর্ভুক্ত।
তিনি বলেন, এস আলম গ্রুপ এবং এস আলম লিমিটেড আলাদা দুটি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মালিকানা নির্বিশেষে কোনো শিল্প-প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করার সরকারের নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
‘এই সমস্ত শিল্প জিডিপি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে, তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক উৎপাদন খাতের সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করছে,’ গভর্নর বলেন।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ইসলামী ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে ব্যাংকটি আগের চেয়েও শক্তিশালী হবে।
তড়িঘড়ি শপথ নিয়ে একি বললেন রিজভী
[…] […]