যে চাকরিটা করছিলেন, সেটা ভালো লাগছিল না। অথচ প্রতি মাসে টাকাটা ঠিকই দরকার। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন তার বাবা-মা। তাকে নতুন ধরনের একটি চাকরির অফার দেন। বলেন, বেতন তারা দেবেন, তবে এর পরিবর্তে তাদের সেবা যত্ন করতে হবে তাকে। নতুন এই শর্তে আপাতত উভয় পক্ষই রাজি। হিন্দুস্তান টাইমস।
৪০ নিয়ানান নামের ওই নারীর বাড়ি চীনে। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে তিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সম্প্রতি অফিসে তার কাজের চাপ অনেকখানি বেড়ে যায়। এই চাপ সামাল দেওয়া তার জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াও তার জন্য জটিল হয়ে যাচ্ছিল। মানসিক চাপ অনেকখানি বেড়ে যাওয়ায় তিনি চাকরি ছাড়ার চিন্তা করছিলেন। কিন্তু অন্য কোনো উপায় না থাকায় তিনি চাকরিটিও ছাড়তে পারছিলেন না।
এমন সময় তার বাবা-মা অন্য রকম একটি চাকরির অফার দেন নিয়ানানকে। আগের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তারা জানান, মেয়ের অর্থনৈতিক সমস্যা মেটাবেন তারা। তবে এর পরিবর্তে তাদের জন্য কিছু করতে হবে, তাদের সঙ্গে থাকতে হবে নিয়ানানকে।
নতুন চাকরির এ অফার তার কাছে মন্দ লাগেনি। তিনি এরপর চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে সর্বক্ষণিক মা-বাবার দায়িত্ব নেন। নিনিয়ান জানান, তিনি সকালে এক ঘণ্টা বাবা-মায়ের সঙ্গে নাচানাচি করে কাটান। পরে তাদের সঙ্গে দোকানে বা বাজারে যান। রান্না করার সময় তাদের সঙ্গে থাকেন। গাড়িচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ঘরের ছোটখাটো আরও কিছু দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
বিনিময়ে তাকে তার বাবা প্রতি মাসে চার হাজার ইউয়ান দেয়ার কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশি অর্থে অঙ্কটা ৬০ হাজারের কিছু বেশি। নিজের পেনশন থেকে মেয়েকে এ অর্থ দিচ্ছেন বাবা।
নিনিয়ান জানান, আপাতত এই কাজ করতে তার ভালোই লাগছে। তবে তার বাবা-মা তাকে এই স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন যে, যদি এর চেয়ে ভালো কোনো চাকরি পাওয়া যায়, তাহলে সে তা স্বচ্ছন্দে গ্রহণ করতে পারে।