Thistimebd.news

বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে মাতুয়াইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে।
অবস্থান কর্মসূচি পালনে যাওয়া বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষের মধ্যে মাতুয়াইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অন্তত তিনটি বাসে আগুন ধরানো হয়েছে।

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে নামা বিএনপি শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিল।

বিএনপির কর্মসূচির স্থান ছিল যাত্রাবাড়ী; তবে সেখানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের অবস্থানের কারণে তারা মাতুয়াইলের দিকে সরে যায়।

সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এরপর দুপুর পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এর মধ্যেই বাসগুলো পোড়ান হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাতুয়াইল মেডিকেল মোড়ে গুলিস্তানমুখী স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
বাসটির চালক ইমরান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি যাত্রী নিয়ে গুলিস্তানের দিকে যাচ্ছিলেন। মাতুয়াইল মেডিকেল মোড়ে পুলিশ গাড়ি আটকে তাকে ঘুরিয়ে দেয়। তিনি মেডিকেল মোড়ে ইউটার্ন নিয়ে যাত্রী নামানোর জন্য দাঁড়াতেই কয়েকজন হেলমেট পরিহিত ব্যক্তি এসে বাসের পেছনের দিকে পেট্রোলজাতীয় কিছু ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার চালক ইমরানকে মারধর করে বাসের চাবিও ছিনিয়ে নেয়।

মাতুয়াইল মেডিকেল মোড়ে তুরাগ পরিবহনের একটি মিনিবাসে ১টার দিকে আগুন দেওয়া হয়। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিভিয়ে ফেলা হয়।
বেলা পৌনে ২টার দিকে মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় সান্টো ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-কুমিল্লা রুটের তিশা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। বাসটি পেট্রোল পাম্পেই রাখা ছিল। সেখান থেকে বের হয়ে বাসটি মহাসড়কে ওঠার সময় এটিতে অগ্নি সংযোগ করা হয়।

অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত তিশা পরিবহন বাসটির চালক মো. মাসুম বলছেন, দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে এসে বাসের দিকে কিছু একটা ছুড়ে মারলে বাসটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে।

বাসে কোনো যাত্রী ছিল না।

মাতুয়াইল ঘটনাস্থলে থাকা র‌্যাব-১০ এর পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিভিন্ন গলি থেকে বের হয়ে বাসে কিছু ব্যক্তি অগ্নিসংযোগ করেছে। যারাই এ ধরনের নাশকতামূলক কাজে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মাতুয়াইলে সংঘর্ষে আহত আশরাফ মিয়া (১৮) নামে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি গাড়ির ইঞ্জিন মিস্ত্রি বলে জানা গেছে।

আশরাফ বলেন, তিনি গ্যারেজ থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তায় দাঁড়ানো গাড়ি থেকে নেমে একজন পুলিশ সদস্য শটগান থেকে গুলি চালালে তার দুই পা ও ডান হাতে হাতে গুলি লাগে।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার হোসেন মেহেদী হাসান thistimebd.newsকে বলেন, “বিএনপির লোকজনকে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা নিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তায় নামলে পুলিশ বাধা দেয়।”

মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনারের মোহাম্মদ ইমরুলের বরাত দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, শ্যামলীতে পুলিশের একটি পিকআপ, যাত্রীবাহী বাসসহ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *