অবশেষে আয়ারল্যান্ডের বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দারুণ জয় স্কটল্যান্ডের
প্রায় সমমানের একটি দলের সামনে ২৮৬ রানের পুঁজি কম কথা নয়। তবুও প্রতিবেধি দুটি দেশের মধ্যে তুমুল লড়াই হলো। সেই লড়াই শেষে জয়ী দলটির নাম স্কটল্যান্ড। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে গিয়ে আইরিশদের ২৮৬ রানের বাধা টপকে ১ উইকেটের ব্যবধানে
জয় পেলো স্কটিশরা। বুলাওয়ে কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় স্কটল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে কার্টিস ক্যাম্ফারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে আইরিশরা। ক্যাম্ফার ১০৮ বলে ১২০ করে আউট হন। জবাব দিতে
নেমে মাইকেল লিস্কের প্রায় সেঞ্চুরির কাছাকাছি ইনিংসের ওপর ভর করে ইনিংসের শেষ বলে গিয়ে বাউন্ডারি মেরে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় স্কটল্যান্ড। ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন লিস্ক। এই জয়ের মাধ্যমে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ‘বি’ গ্রুপে ২ পয়েন্ট নিয়ে
তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে স্কটল্যান্ড। এটাই ছিল তাদের প্রথম ম্যাচ। অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচে পরাজিত হলো আইরিশরা। মাইকেল লিস্কের ৬১ বলে অপরাজিত ৯১ রানের সামনেই মূলত ম্লান হয়ে গেছে কার্টিস ক্যাম্ফারের ১২০ রানের ইনিংস। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে
শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে আইরিশরা। ১৭ রানে ৩টি, ৩৩ রানে ৪টি এবং ৭০ রানে হারায় ৫ উইকেট। এর মধ্যে শুধুমাত্র অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ৫৪ বলে করেছেন ৩২ রান। বাকিদের মধ্যে পল স্টার্লিং এবং অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবিরনি আউট হয়েছেন ০ রানে। ৬ রান করে আউট হন হ্যারি
টেক্টর এবং লরকান টাকার। এরপর ১৩৬ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে তোলেন কার্টিস ক্যাম্ফার এবং জর্জ ডকরেল। ৯৩ বলে ৬৯ রান করেন ডকরেল। এছাড়া ১৯ রান করেন গ্যারেথ ডিলানি। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানে থামে আইরিশদের ইনিংস। স্কটল্যান্ডের
হয়ে ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম ৩৪ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। জবাব দিতে নেমে শুরুতে স্কটল্যান্ডও বেশ কিছু উইকেট দ্রুত হারিয়ে ফেলে। ম্যাথ্যু ক্রস ৪, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ১০, জর্জ মুনসে ১৫, রিচি বেরিংটন ১০, টমাস ম্যাকিন্টস ১৮ রান
করে নিয়মিত বিরতিতে আউট হতে থাকেন। মাইকেল লিস্ক এসে ঝড় তোলেন। তাকে সঙ্গ দেন ক্রিস গ্রিভস (২০) এবং মার্ক ওয়াট (৪৭)। একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে মাইকেল লিস্কই বাজিতাম করে দিলেন।