thistimebd.news

যুগ পাল্টেছে। ক্ষেতে কোদাল বা লাঙ্গল চালানোর পরিবর্তে কীবোর্ড চাপতে চাপতে এখন জীবিকা উপার্জন করতে হয়। ফলে দিনের অধিকাংশ সময় চোখ থাকে পিসি বা ল্যাপটপের পর্দায়। বাকি সময়টাও থাকে মোবাইলের স্ক্রিনে। ফলে প্রচণ্ড চাপ পড়ে চোখের ওপর। সেই চোখকে কিন্তু কয়েকটি টিপস ব্যবহার করে সুস্থ রাখা যায়।

এমনিতে দীর্ঘদিন ও দীর্ঘক্ষণ ধরে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ব্যবহার করলে শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গ হিসেবে পরিচিত চোখের ওপর ব্যাপক চাপ পড়ে। ফলে মাঝে মধ্যেই চোখ থেকে পানি পড়া বা চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই সেগুলোকে পাত্তা দিতে চান না। ফলে ধীরে ধীরে ব্যথার মাত্রা ও পরিধি উভয়ই বাড়তে থাকে।

সে সময় অনেকের চোখের নিচে ব্যথা হয়। কখনোবা সেই ব্যথা কপালের রগ ছাড়িয়ে মাথাতেও ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসা পরিভাষায় একে ‘ক্লাস্টার হেডেক’ বলা হয়। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় একই সময়ে ব্যথা শুরু হয়। তখন অতিরিক্ত আলো বা আওয়াজ সব কিছুই অসহ্য লাগতে শুরু করে।
চিকিৎসকরা বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে কতগুলো নিয়ম মেনে চলা উচিত।

প্রতি ৩-৪ সেকেন্ড পর পর চোখের পাতা ফেলা চোখের অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে। বিশেষ করে যাদের একভাবে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে কাজ করতে হয়, তাদের জন্য মাঝেমাঝেই চোখের এই ব্যায়ামটি করে নেওয়া ভাল।

টানা ১ মিনিট ধরে ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলাও চোখের জন্য খুব উপকারী একটি ব্যায়াম। এতে দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।

চোখের মণি ঘোরানোও চোখের জন্য বেশ কার্যকর একটি ব্যায়াম। ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং পরে তার বিপরীত দিকে ৪ বার করে মণি ঘোরান। তারপর চোখ বন্ধ করে রাখুন ২-৩ সেকেন্ড করে। দিনে ২ বার এই ব্যায়ামটি করলে চোখের পেশি ভালো থাকবে।

টানা ২০ মিনিট কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার পর ২০ ফুট দূরের কোনো জিনিসের দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। ২০ মিনিট পর পর এই চর্চাটি করা গেলে তা চোখের জন্য খুবই উপকার বয়ে আনবে।

3 thoughts on “চোখের ব্যথা থেকে বাঁচতে করণীয়”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *